গ্রাজুয়েশনের পরে আমার প্রথম চাকরী। আজ আমার ইউনিভার্সিটিত টিচিং ক্যারিয়ার এর ফার্স্ট ক্লাস। সি প্রোগ্রামিং এর ইন্ট্রো। ঢাকাপারার হুল স্থুল ইন্টারনেট কানেকশনে- অনেক কাহিনী করে স্লাইড বানালাম। আমি কনফিউজড - পোলাপান আমার পড়ানোকে কেমনভাবে নেবে। সাথে নার্ভাসও বটে। চশমা পড়ে গেলাম, কারণ কে জানি বলেছিলো- চশমা না পরলে নাকি টিচার লাগে না। স্টুডেন্ট লাগে।
যাই হোক, টিচার টিচার ভাব নিয়ে ক্লাসে ঢুকলাম। EEE 2nd ব্যাচ। ক্লাসে ঢুকার পর সবার দিকে এক পলক তাকালাম। আমার একটা কবিতার দুই লাইন মনে পড়ে গেলো -
"ছেলেটা কেমন আবোল তাবোল, মেয়েটা কেমন পাগল পাগল"।
যাই হোক আমি পড়ানোতে মনোনিবেশ করলাম। প্রথম ক্লাসে নরমালি শর্টকাটে পরিচয় পর্ব সেরে ফেলা উচিত। তাই আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়ে ওদের পরিচয় নিলাম। খেয়াল করলাম আমার থেকে বয়সে হয়তো ১, ২ বা ৩ বছরের জুনিওর ওরা। আর প্রচুর ফ্রেন্ডলি, তাই খুব সহজে আমার নার্ভাস ভাবটা কেটে গেলো। প্রথম দিনই ওরা আমাকে খুব আপন করে নিলো।
আমার কেন জানি মনে হতো ফ্রেন্ডশিপ সবথেকে বেস্ট এই ব্যাচ এ। কোন গ্রুপিং নেই। আবার সবাই মিলেই একটা গ্রুপ। খুব ছোট একটা ব্যাচ যার ফলে সবাই রোল নাম্বার এর সাথে সাথে নামও মুখস্থ হয়ে গেল
যাইহোক এবার মূল বর্ণনায় আসি। এই ব্যাচটা আমার কাছে সবসময় স্পেশাল কারণ এখানেই আমার ফার্স্ট কোর্স নেয়া। তাই স্পেশাল ব্যাচের জন্য স্পেশাল লেখা। আজকের লেখায় সবার সম্পর্কে কিছু লিখবো, যার সম্পর্কে যতটুকু মনে পড়ে।
ক্লাসের সবথেকে প্রথম বেঞ্চে বসে নাফি নামের একটা ছেলে। এই ছেলেটাকে নিয়ে অনেক আগেই আমার কিছু লিখা উচিত ছিল। ছেলেটার রোল ১। রোল যেমন এক, কাজেও তেমনি এক। একে তো ক্লাসে বেস্ট সিজিধারি (যদিও মেমি ওকে টেক্কা দিতো)। ও যখন থার্ড ইয়ারে, একদিন আমার কাছে এসে বললো- স্যার আমি একটা ড্রাফ্ট পেপার লিখছি, পাব্লিশ করবো। আমি ভাবলাম কেবল থার্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট, তাই ব্যাপারটা এতটা পাত্তা দিলাম না। কিন্তু খানিকটা অবাক হলাম- ওর লেগে থাকা দেখে। বার বার ড্রাফ্ট মেইল করতো। আমই বিরক্ত হতাম, আবার হালকা ডিরেকশন ও দিতাম। আজ হাতে গুনে দেখলাম ওর সাথে আমার টোটাল আট টা পেপার চারটা আইইইই কনফারেন্স, ৪ টা জার্নাল। এখন ও নিজেই একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির টিচার। কি অদ্ভুত না!
নাফির সাথে প্রথম বেঞ্চে বসতো স্বাধীন, সাজ্জাদ, মাহবুব আর বাদশাহ। স্বাধীন খুব ভদ্র শান্ত শিষ্ট অমায়িক একটা ছেলে । খুব চেষ্টা করে পড়াশোনার জন্য। সাথে সাথে সবাইকে হেল্প করে। ও এমন একটা ছেলে- একটা জব সার্কুলার হলে সেটা আগে সব ফ্রেন্ডদের সাথে শেয়ার দেবে, তারপর লাস্ট এ নিজে এপ্লাই করবে। মাহবুব আর বাদশাহ মধ্যে একটা জিনিস খুব কমন- সিজি অনেক ভালো, কিন্তু অল্পতেই খুব হতাশ হয়ে যায় যায়। একটু কিছু হলেই একটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বলে- “স্যার, আমার যে কি হবে...” ওইদিন মাহাবুব এর সাথে কথা হলো- জব করতেছে, বিয়েও করেছে, হতাশা থাকার কথা না।
একদিন ফেসবুকে টাইমলাইনে হঠাৎ দেখে- টি ভি নিউজ- হেলিকপ্টারে করে কার জানিয়ে বিয়ে। ভিডিও দেখতে গিয়ে খেয়াল করি এটা আমাদের বাদশাহ। আরো বেশি অবাক হয়ে গেলাম যখন দেখলাম বাদশারসাথে বিয়ে হয়েছে আমারই ইস্টুডেন্ট ঊর্মির । ঊর্মি তুমি খুব ভালো একটা মেয়ে (আমার অনেক বড় ফ্যান!)। বাদশার এখন হতাশ ভাবটা থাকার কথা নয়। ভালই হোলো, দেশে গেলে দুই জনের কাছেই ট্রিট নেয়া যাবে। পাওনা থাকলো।
সাজ্জাদ কে নিয়ে লিখতে গেলে পাতা ফুরিয়ে যাবে। শুধু এতটুকুই বলব ও একটা ছেলে ব্যতিক্রম ও জনপ্রিয় একটা ছেলে। টিচারদের কাছেও বিখ্যাত স্টুডেন্টদের কাছে বিখ্যাত । কি কারণে?? কারন ঝড়, তুফান,
ভুমিকম্প, বন্যা যাই হোক না কেনো, ক্লাসে কোনো স্টুডেন্ট না আসলেও সাজ্জাদ আসবে।
সব ক্লাসেই ওর উপস্থিতি ১০০%।
সাজ্জাদের বাসা বগুড়ায়। আমার আপুর বাসাও ওখানে। ঈদের সময় একা বাড়ি
গিয়ে মজা নাই। তাই একবার ঈদের সময় আমি আর সাজ্জাদ একসাথে বগুড়া গেলাম। সাজ্জাদ আমাকে জোর করে ওর বাসায় নিয়ে গেল। আন্টি খুব ভালো মানুষ। আমাকে অনেক বেশি খাওয়া- দাওয়া, আর আপ্যায়ন, করলেন। আন্টি বললেন- আমাকে তার অনেক পছন্দ হয়েছে তাই আমাকে ওনার এক আত্মীয়ার সাথে বিয়ে দিয়ে বগুড়ার জামাই বানাতে চান। সাজ্জাদও আন্টির সাথে শায়
খিল খিল করে হেসে দিয়ে বললো বগুড়ার মেয়েরা নাকি খুবই ভালো আর সুন্দর হয়।
স্যার কালকেই আপনাকে বউ দেখতে নিয়ে যাই।
আমি গোগ্রাসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আপুর বাসার উদ্দেশে রওনা দিলাম।
সাজ্জাদের ক্যাপ নিয়ে সবসময় টানাটানি করে যেই ছেলেটা তার নাম আলভী। প্রথম দিকে প্রচুর দুষ্টু একটা ছেলে ছিল। পরে এত ভদ্র আর চুপচাপ হয়ে যায় আমি অবাক হয়ে যাই। ওর এই পরিবর্তনের কারণ কি আস্ক করেছিলাম, মনে হয় প্রেমে ব্যার্থ- টাইপের কোন কারণ আছে। (আসলেই? আরে মজা করলাম) পড়ে ওর তোলা লেকচার খাতাটাই আমার কাছে পারফেক্ট মনে হলো, তাই ওটাই রেফারেন্স হিসেবে পরের সেমিস্টার ব্যাবহার করি। আলভীর পাশে বসত মেহেদী। বাড়ি চাঁপাই। ইচ্ছা ছিলো ওদের আমের বাগান থেকে আম পেড়ে খাবার, সময় হোলো না।
আমি যাই পরাই বা যাই বলি না কেনো, তিনটা ছেলে খুব মনোযোগ দিয়ে কথা শুনতো- রুদ্র, দীপ্ত আর মর্তুজা। তিনজনেই খুব ভালো বন্ধু এবং খুব ভালো ছেলে। তিনজনই আমার খুব প্রিয় স্টুডেন্টদের মধ্যে অন্যতম। আমার মনে হয় আমি ভুল কোন কিছু বললেও ওরা ওটা ঠিক বলে মেনে নেবে। এক কথায় অন্ধ ভক্ত।
আদর্শ ছাত্র বলে যদি কিছু থেকে থাকে- রুদ্র তার একমাত্র উদাহরণ। দীপ্ত খুব শান্তশিষ্ট ছেলে (যদিও ওর বন্ধুরা বলে লেজ বিশিষ্ট)। খুব ভালো ছেলে। এখন কখনো দেখি অ্যামেরিকায়, কখনো বাংলাদেশে। এখন কোথায় সেটাও তো জানি না। আওয়াজ দিও। একদম শেষ দিকে এসে আমাকে থিসিস সুপারভাইজার বানালো মরতুজা/ দীপ্ত । আমি বললাম আমি বাইরে চলে যাবো- পরে বিপদে পরবা। তারপরও ওরা মানল না। যতদিন আছে ততদিন ছিলাম। আমার কিছু করার ছিল না । শেষমেশ আর তোমাদের জন্য কিছু করা হলো না। মুর্তজাকে দেখে আমার কেন যেন মনে হতো, ওর মনের মধ্যে কিছু একটা অজানা কষ্ট নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। ওর সাথে যখন বগুড়ায় আড্ডা দিচ্ছিলাম আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাসে, তখন ওর মনের কথাগুলো বলেছিল। বাইকে করে বগুড়া ঘুরে বেড়ানো- আহা সেই দিনগুলো।
নাম তার অনিক, ডাকনাম কৃষ। “প্যারা নাই চিল- চিল রে মামা- চিল”- এর একটা পারফেক্ট উদাহরন অনিক। সবসময় হাশিখুশি থাকে এই ছেলে। আমার কাছে মনে হয়- ও ক্লাসের শবথেকে সুখী মানুষ। ওর একটা স্পেশাল থ্রি কয়ারতার ছিল, অইতা পরে ক্লাসে আসতো বৃহস্পতিবার। (আমার ব্রেইন অনেক শার্প না? লল।
সবথেকে পেছনের বেঞ্চে বসতো মাহিন, নাইম আর হাসান । তিনজনই খুব ভালো বন্ধু। মাহিন ছেলেটা খুব ভালো ভলিবল আর ফুটবল খেলে। অরে নিয়ে তো অনেক সৃতি, বড়াল ব্রিজে আড্ডা দেয়া, সুখ- দুঃখের গল্প করা, আরও কত কি! সব লিখে শেষ করা যাবে না। কিছু কথা না বলাই থাক তবে ও আমাকে অনেক হেল্প করেছিল কিছু বিষয়ে। নাইম আর রনি এই দুইজন হার্ডওয়্যার এর কাজে খুব ভালো। আমি একবার নাইম কে আরদুইন শিখাতে গেলাম, দেখি ও নিজেই আমার থেকে অনেক বেশি পারে (লল)। রনি ছেলেটা একটা জিনিশ খুব দ্রুত শিখে ফেলতে পারে। এটা ওর ভালো গুন। হাসানকে নিয়ে তেমন কিছু বলতে পারছিনা। খুব চুপচাপ থাকতো আমার ক্লাসে। যদিও ভেজা বিড়াল (লল)। ওরে দেখলেই আমার জুনায়েদ এর কথা মনে পড়ে (জুনাইদ- সাদিয়া)। ওর চুলের স্টাইলের কারনে হয়তো (লল)।
ক্লাসের মধ্যে নায়ক নামে পরিচিত শুভ। খুব ভালো গিটার বাজায়, আরও অনেক কিছু নাকি করে (সব ইম্প্রেস করার জন্নে বুঝি তো!) ওরে দেখলে আমার চোখের সামনে একটা নায়কের নাম মাসে তার নাম অনন্ত জলিল। খুব ভালো ছেলে। দেখলেই সালাম দেয়!
সব কিছুতেই সিরিয়াস একটা ছেলে- অভিক। একসাথে সব কিছু করতে চায়। পড়াশোনা, নাটক বানানো, সিনেমা বানানো, প্রজেক্ট বানানো আরো অনেক কিছু। ভালো ছেলে। ইচ্ছা থাকলে সবই সম্ভব। ইয়াসির আরাফাত ছেলেটা টেকনিক্যালি খুব সাউন্ড। তখনি ও খুব ভালো ইথিকাল হ্যাকিং এ ওস্তাদ। বাগাতিপারার মতো জায়গায় এই কাজ ক্যামনে চালায় যাইত চিন্তার ব্যাপার! ও নিজেই একটা স্টার্ট আপ কোম্পানি খুলেছে, খুব ভালো লাগলো দেখে।
নুর নেতা টাইপের ছেলে। ওকে ক্লাস করাতে গেলে উলটা। ওর অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া লাগতো। হাতেগোনা আমার দুই থেকে তিনটা ক্লাস করেছি কিনা ঠিক নাই। খুব সম্ভবত একটা মেয়ের ফেইক আইডি দিয়ে একবার আমার সাথে মজে নিতে চেষ্টা করছিলো (শিওর না)। ক্লাসের বাইরে খুব ভালো ছেলে, পড়াশোনা ভালো লাগে না, এর বাইরে সবকিছু ওর ভালো লাগে।
শিহাব নূরের জিগরি দোস্ত। চোখে দেখলেই ফাকি বাজি ধরা পড়ে। যদিও আমার সাথে কোন ফাকিবাজি করে নাই কখনো। ক্লাসের ফাঁকে স্যার পানি খাবো বলে বাইরে থেকে বাতাস খেয়ে আসতো। তমাল আর আজমির ভদ্র ছেলে। খুব ইন্ত্রভারত হওয়ায় ওদের সম্পর্কে তেমন কিছু বলতে পারছি না। পরান খুব সহজ সরল একটা ছেলে। একবার হলে গিয়ে বুঝলাম ও বন্ধু হিসেবে সবথেকে বেস্ট, নিজে ক্যামেরা কিনে বন্ধুদের দিয়ে দিয়েছে, যা ছবি তোল।
তৃষার ছেলেটা শবকিছুতেই খামখেয়ালী। খুব ভদ্র ও অমায়িক। যতদিন পেয়েছি চেষ্টা করেছে তাকে আটকে রাখার থাকল না। পরে অন্য ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হয়ে গেলো।
এবার ক্লাসের মেয়েদের কথায় আসা যাক। এরা সবাই জানার পাশে বসবে। মেমি অনেক ভদ্র মেয়ে। ক্লাসের সেকেন্ড গার্ল। পোলাপানরা অকে অনেক পচায়, কিন্তু সে কোন রিঅ্যাক্ট করে না। মেমি আর মাহিন আমার থিসিস স্টুডেন্ট ছিলো, তখন আমি বাইরে আসার জন্য খুব ব্যস্ত- তাই এত বেশি হেল্প করতে পারলাম না। ক্ষমা প্রার্থীএর জন্নে। মেমির অনেকদিন কোন খোজ নেয়া হয় নাই।
রথীর পড়াশোনা আমাদের দুনিয়ার সবকিছু ভালো লাগে। এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস এ সে খুব ভালো। ক্যাম্পাসে নাম ডাক আছে। মৌ আর সানজিদা খুব শান্তশিষ্ট এবং ভদ্র মেয়ে। ওদের নিয়ে কোন কিছু আন্দাজ করাটা কঠিন। সানজিদাকে দেখলে মনে হয় খুব কনফিউজ একটা মেয়ে। কয়দিন আগে রেফারেন্স লেটার দিলাম ভর্তি হয়েছে কুয়েটে এম এস এ। প্রমা আর মাহিন ভাই বোন টাইপ। খুব ভাল ফ্রেন্ডও। ছেলে মেয়ে ফ্রেন্ডশিপ এ আমি কখনো বিশ্বাস করি না। এদের দেখলে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয়। প্রোমা আমার ক্লাস খুব মনোযোগ দিয়ে পরে। আমার সাবজেক্ট এর সব থেকে হায়েস্ট নাম্বার পেয়েছিলে এতোটুকু মনে পড়ে। সে নাকি সব স্যারদের কপি করতে পারে। একদিন সবার শয়াম্নে বললাম- আমাকে কপি করতে। সেটা আর করলো না।।
এখন আসি সামারি তে। অনেক জোস একটা ব্যাচ। ব্যাচের শিবাই জোস। আর খামখেয়ালী। অনেক আশ্চর্য হয়ে খেয়াল করলাম, এদের জুনিয় ব্যাচের পোলাপান বিয়ে করে ফেলতেছে, কিন্তু এই দ্বিতীয় ব্যাচে বিবাহিতদের হার খুব কম। হয়তোবা এরা পড়াশুনার মতো বিয়ের ব্যাপারেও কেয়ারলেস। অন্তত এই জায়গায় ওদের সাথে আমার অনেক মিল।
কথা হচ্ছে তোমাদের নিয়ে এতকিছু লিখলাম কেন, এতদিন পর? আমার কাছে মনে হয়য় জীবনটা অনেক ছোট, তার মধ্যে খুব ভালো একটা সময় কাটিয়েছি তোমাদের সাথে। তোমাদের থেকে যে ভালবাসা আর সম্মান পেয়েছি, তার হয়তো আমাই যোগ্য নই। স্কুল লাইফে শিক্ষকদের দেখলে কেমন যেনো ভয় পেতাম। তখন থেকে নিজের মধ্যে একটা সংকোচ কাজ করতো। কখনো মঙ্খুলে কথা বলতে পারি নি।
নিজে টিচার হবার পরে আমি কখনো চাই নি স্টুডেন্ট রা আমাকে ভয় পাক। কখনো চাইনি ‘টিচার’ এর ট্যাগ ক্লাসের বাইরে গলায় ঝুইলিয়ে বেড়াতে। তাই ক্লাসের বাইরে চেষ্টা করেছি একজন ভালো বন্ধু হবার। জানি না কততুকু পেরেছি, কিন্তু বিনিময়ে তোমাদের থেকে যে ভালোবাসা আর সম্মান পেয়েছি, তা আজীবন মনে থাকার মতো। এজন্যই আমার প্রত্যেকটা স্টুডেন্ট আমার কাছে অনেক মুল্যবান এবং প্রিয়।
এই ব্যাচটা ছোট তাই লিখার শাহশ করলাম। সব ব্যাচের স্টুডেন্ট রাই মার প্রিয়। হয়তো সব ব্যাচে সবাইকে নিয়ে এভাবে কখনোই লিখার সময় পাবো না। তাই বলে মাইন্ড করো না। একদিন যেদিন অনেক সময় হবে- তখন হয়তো লিখবো। একজীবনে অনেক কিছু করতে ইচ্ছে হয়য়- কিন্তু সময় যে খুব কম।
বাউয়েটে আমার সব ভালো স্মৃতি সব। তিক্ত কোন সৃতি নেই। আমার সম্পর্কে তোমাদের কোনো সৃতি থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখতে পারো। ইচ্ছা ছিল আসার আগে তোমাদের থেকে চিরকুট/ ডায়েরি লিখে নিবো, সময় হয়ে উঠে নাই। পরে তোমাদের থেকে গুগল ডকে একটা লিখা নিয়েছিলাম, ওটা পরে ডিলিট হয়ে গিয়েছে। তাই আমাকে নিয়ে তোমাদের কমেন্ট গুলো হয়তো আবার সেইভ করে রাখবো।
আর হ্যা- ভালো থেকো তোমরা। তোমাদের জন্য ভালোবাসা।
Part of my biography- sweet memories with EEE 2nd batch