স্কুল লাইফে অনেকটা বান্দর টাইপের ছিলাম(যা এখনো সুপ্ত প্রতিভা হিসেবে
বর্তমান)। একসময় দেখলাম বান্দর+আমি= বান্দরামি আর পড়াশুনা একসাথে হলেও
একটাও পারফেক্টলি হয় না। বান্দরামি বাদ দিলাম। হাতে থাকল পড়াশুনা এবং শুধুই
পড়াশুনা। View
Photo
কলেজ লাইফে ছিলাম দেশী মুরগী.. ভেবেছিলাম মাত্র কয়েকদিন কষ্ট...ভার্সিটি লাইফে কত কি করবো, আকাশে ডানা মেলে উড়বো.. etc. etc.
সাধনায় সিদ্ধি লাভ। সাথে আল্লাহর ইচ্ছা। একসাথে অনেকগুলা varsity তে চান্স পেয়ে গেলাম। DU CSE, IUT ME, KUET EEE, RUET EEE, CUET এ xm দিলাম না.. (ভাই, একটু ভাব নিলাম আর কি!!! মাইন্ড কইরেন না।) BUET আমারে ওয়েটিং এ রাখল(আমার প্রতিভার মূল্য বুঝল না :P),পরে URP তে ডাকল। মনে কষ্ট পেলাম। খানিকটা হতাশও হলাম। গেলাম না। ভর্তি হলাম KUET EEE তে। দুধের সাধ ঘোলে মিটল।
কুয়েট লাইফের অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে। এখানে ভাল সিজিপিএ এর জন্যে অনেক বেশী পড়াশুনা করতে হয়। (গুণীজনরা বলেন CGPA matters!!!)
এখানে আমি রীতিমতো একজন ব্রয়লার মুরগী.. দেশী থেকে ব্রয়লার মুরগী..(আমি একাই না কিন্তু, আমার মত বেশ কয়েকজন আছে!!!)
ক্লাস চলার সময় daily report লিখা.. programming lab এর আগে ধুমাইয়া প্রাকটিস করা.. lab test, quiz, viva.. এরপর মাথা গরম হয়ে গেলে paracetamol খেয়ে আবার পড়তে বসা.. PL, SPL এ ডেইলি ১৮ ঘন্টা ধুমাইয়া পড়া.. পারলে বাথরুমে গিয়া সিগন্যাল বা নিউমেরিকাল মেথডের ফর্মুলা আওড়ানো....
আর টার্ম ফাইনাল xm এর আগে ৩ ঘন্টা করে ঘুমানো..
দুপুর বেলা ভাতের বদলে পাউরুটি আর কলা খেতে দেখে আপনি আবাক হতে পারেন.. কিন্তু না.. ডাইনিং এ তো আপনি আর বই নিয়ে যেতে পারেন না.. তাই রুমেই পাউরুটি খাওয়ার পাশাপাশি একটা chapter রিভাইস দিয়ে xm দিতে গেলে সমস্যা কি? সময়তো বাঁচল…এটাই লাভ। শুধু বেঁচে থাকার জন্যই তো খাওয়া তাই না??
রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে মোবাইল গুতাইতে দেখে হয়তো ভাবছেন fb তে কোনো ফ্রেন্ডের সাথে চ্যাট করছি.. কিন্তু না… হয়তো স্ক্রিন এ ঐটা electromagnetic field এর দাঁতভাঙা কোন সূত্র অথবা ইলেক্ট্রনিক্স এর বিদঘুটে কোনো সার্কিট।
বাসা থেকে টিউশন করাতে মানা আছে। তবুও পড়াশুনার একঘেয়ামী কাটানোর জন্য একটা টিউশনী করাতাম(ছাত্র কিন্তু স্টুডেন্ট না!)। স্টুডেন্টের সাথে গল্প করে মনটা একটু হলেও হালকা হতো। ফুলবাড়ি থেকে গোয়ালখালি... মনে মনে ভাবতাম পলাশী থেকে শাহবাগ যাচ্ছি... term final এর আগে মাথায় ভূত চাপল, একটা হাবিজাবি lame excuse দিয়ে টিউশনীটাও বাদ দিলাম। স্টুডেন্ট গেলো… হাতে থাকল শুধুই পড়াশুনা।
ব্যাপারগুলো হাস্যকর হলেও অনেকটা কষ্টের। বন্ধুরা বলে পড়াশুনার বাইরেও নাকি জীবনের একটা বড় অংশ আছে। অনেক চেষ্টা করেও সেটা খুঁজে বের করতে পারি নি। বন্ধুরা দিনভর FIFA খেলে আর আমি অবাক হয়ে দেখি.. বন্ধুরা চা এর দোকানে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা মেরে কাটিয়ে দেয়- আমি মনেমনে ভাবি কেমনে সম্ভব? বন্ধুরা বরাবরই একটা প্রশ্ন করে- এত পড়িস ক্যারে? আমি বরাবরের মতই চুপ মেরে যাই।
দুদিন হল আমার টার্ম ফাইনাল শেষ হয়েছে। পাঁচদিন পর ক্লাস শুরু। ইচ্ছা করছে আকাশে একটা উড়াল দিতে। পাখিরা ইচ্ছা করলেই আকাশে উড়তে পারে, মুরগীরা পারে না।
দিন দিন মুরগী হয়ে যাচ্ছি। আমার জন্য একটু দোয়া কইরেন যাতে মুরগী থেকে মানুষ হতে পারি।
কলেজ লাইফে ছিলাম দেশী মুরগী.. ভেবেছিলাম মাত্র কয়েকদিন কষ্ট...ভার্সিটি লাইফে কত কি করবো, আকাশে ডানা মেলে উড়বো.. etc. etc.
সাধনায় সিদ্ধি লাভ। সাথে আল্লাহর ইচ্ছা। একসাথে অনেকগুলা varsity তে চান্স পেয়ে গেলাম। DU CSE, IUT ME, KUET EEE, RUET EEE, CUET এ xm দিলাম না.. (ভাই, একটু ভাব নিলাম আর কি!!! মাইন্ড কইরেন না।) BUET আমারে ওয়েটিং এ রাখল(আমার প্রতিভার মূল্য বুঝল না :P),পরে URP তে ডাকল। মনে কষ্ট পেলাম। খানিকটা হতাশও হলাম। গেলাম না। ভর্তি হলাম KUET EEE তে। দুধের সাধ ঘোলে মিটল।
কুয়েট লাইফের অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে। এখানে ভাল সিজিপিএ এর জন্যে অনেক বেশী পড়াশুনা করতে হয়। (গুণীজনরা বলেন CGPA matters!!!)
এখানে আমি রীতিমতো একজন ব্রয়লার মুরগী.. দেশী থেকে ব্রয়লার মুরগী..(আমি একাই না কিন্তু, আমার মত বেশ কয়েকজন আছে!!!)
ক্লাস চলার সময় daily report লিখা.. programming lab এর আগে ধুমাইয়া প্রাকটিস করা.. lab test, quiz, viva.. এরপর মাথা গরম হয়ে গেলে paracetamol খেয়ে আবার পড়তে বসা.. PL, SPL এ ডেইলি ১৮ ঘন্টা ধুমাইয়া পড়া.. পারলে বাথরুমে গিয়া সিগন্যাল বা নিউমেরিকাল মেথডের ফর্মুলা আওড়ানো....
আর টার্ম ফাইনাল xm এর আগে ৩ ঘন্টা করে ঘুমানো..
দুপুর বেলা ভাতের বদলে পাউরুটি আর কলা খেতে দেখে আপনি আবাক হতে পারেন.. কিন্তু না.. ডাইনিং এ তো আপনি আর বই নিয়ে যেতে পারেন না.. তাই রুমেই পাউরুটি খাওয়ার পাশাপাশি একটা chapter রিভাইস দিয়ে xm দিতে গেলে সমস্যা কি? সময়তো বাঁচল…এটাই লাভ। শুধু বেঁচে থাকার জন্যই তো খাওয়া তাই না??
রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে মোবাইল গুতাইতে দেখে হয়তো ভাবছেন fb তে কোনো ফ্রেন্ডের সাথে চ্যাট করছি.. কিন্তু না… হয়তো স্ক্রিন এ ঐটা electromagnetic field এর দাঁতভাঙা কোন সূত্র অথবা ইলেক্ট্রনিক্স এর বিদঘুটে কোনো সার্কিট।
বাসা থেকে টিউশন করাতে মানা আছে। তবুও পড়াশুনার একঘেয়ামী কাটানোর জন্য একটা টিউশনী করাতাম(ছাত্র কিন্তু স্টুডেন্ট না!)। স্টুডেন্টের সাথে গল্প করে মনটা একটু হলেও হালকা হতো। ফুলবাড়ি থেকে গোয়ালখালি... মনে মনে ভাবতাম পলাশী থেকে শাহবাগ যাচ্ছি... term final এর আগে মাথায় ভূত চাপল, একটা হাবিজাবি lame excuse দিয়ে টিউশনীটাও বাদ দিলাম। স্টুডেন্ট গেলো… হাতে থাকল শুধুই পড়াশুনা।
ব্যাপারগুলো হাস্যকর হলেও অনেকটা কষ্টের। বন্ধুরা বলে পড়াশুনার বাইরেও নাকি জীবনের একটা বড় অংশ আছে। অনেক চেষ্টা করেও সেটা খুঁজে বের করতে পারি নি। বন্ধুরা দিনভর FIFA খেলে আর আমি অবাক হয়ে দেখি.. বন্ধুরা চা এর দোকানে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা মেরে কাটিয়ে দেয়- আমি মনেমনে ভাবি কেমনে সম্ভব? বন্ধুরা বরাবরই একটা প্রশ্ন করে- এত পড়িস ক্যারে? আমি বরাবরের মতই চুপ মেরে যাই।
দুদিন হল আমার টার্ম ফাইনাল শেষ হয়েছে। পাঁচদিন পর ক্লাস শুরু। ইচ্ছা করছে আকাশে একটা উড়াল দিতে। পাখিরা ইচ্ছা করলেই আকাশে উড়তে পারে, মুরগীরা পারে না।
দিন দিন মুরগী হয়ে যাচ্ছি। আমার জন্য একটু দোয়া কইরেন যাতে মুরগী থেকে মানুষ হতে পারি।
No comments:
Post a Comment