সকালে ঘুম ভাঙতো আন্টির ফোনে।
-মুবিন, উঠছো? সকাল ১০টা বাজে।
- জ্বী আন্টি। উঠলাম মাত্র।
- উঠে পরো বাবা.. তুমি না আসলে ও পড়তে বসবে না।
'জ্বী আন্টি.. ’ বলে টানা আধ-ঘণ্টার একটা ঘুম। তারপর তারাহুড়া করে সোজা
খালিশপুরের দিকে রওনা।
রোজার মাসে খুব ফাঁকিবাজি করতো ওরা।
পড়তেই চাইতো না। আজগুবি সব গল্প শোনাতো । কখনও হরর মুভির গল্প, কখনও তেঁতুল
গাছের ভূতের গল্প..
ইফতারিটা করতাম বাইরে। তারপর খানিকটা পড়াশুনা। এরপর তারাবী শেষে টানা দুইটা
মুভি। সেহরি খাওয়ার আগে ওহাবের রুমে নক। প্রাণখুলে কিছুক্ষণ গল্প। তারপর ওর সাথে
ফুলাবাড়ীগেটের মোড়ের হোটেলে দলবেঁধে খেতে যাওয়া।
ফজরের নামাজ শেষে হলের পাঁচতলার বারান্দা থেকে আকাশের তারা দেখতে দাঁড়াতাম
আমি। ভোরের তারা আর ল্যাম্পের আবছা আলোয় অদ্ভুত রকমের সুন্দর লাগতো সবুজ ঘাসগুলোকে।
প্রায়ই মনে হতো- I am living in my dream.. মাঝেমধ্যে মনে হতো সময়টাকে এখানেই
থামিয়ে রাখলে মন্দ হতো না..
আমার ধারণাটা ভুল ছিলো। সময় ভয়ংকর রকমের নিষ্ঠুর। সময় কখনো কারও
জন্য থেমে থাকে না।
এখন আর কেউ ফোন দিয়ে ডেকে দেয় না..
No comments:
Post a Comment